Saturday, June 26, 2010

কোন বইটি পড়ছেন, পড়লেন বা পড়তে যাচ্ছেন?

প্রতিদিনই কিছু না কিছু পড়ছি আমরা। কিন্তু একটা বই পড়ার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। একজন লেখক অনেক সাহস আর আস্থা নিয়ে নিজের কিছু কথা দুই মলাটে বন্দী করে আপনার হাতে তুলে দিচ্ছেন। এই লেখা হতে পারে চূড়ান্ত এলোমেলো থেকে শুরু করে সারা জীবনের শ্রমলব্ধ কোনো আবিষ্কার বা উপলব্ধির কথা। একটা বই পড়া মানে একটা মানুষের আত্মার একটা অংশ হাতে নিয়ে দেখা।

সবার সাথে ভাগ করে নিন আপনার এই অনুভূতিটুকু। লিখুন, আঁকুন, ছবি তুলুন আপনার হাতে থাকা বইটিকে নিয়ে। এই পোস্টের নিচে মন্তব্য আকারে লিখুন, ছবি ফ্লিকারে আপলোড করে এমবেড করে দিন। দিনের সেরা মন্তব্যটি পৃথক পোস্ট আকারে এই ব্লগে প্রকাশিত হবে। সেই সেরা মন্তব্যকারী পাঠকের জন্যে থাকলেও থাকতে পারে একটি ছোট্ট পুরস্কার।

ধন্যবাদ।

7 comments:

  1. দারুণ বল্গ !
    আমি এখন হোজ্জা পড়ি, ভাগাভাগি পরে করবো।

    ReplyDelete
  2. আমি এখন রয় নিগাম নামক একজন লেখকের বই পরতেসি। র‌্য নিগাম নাম হইলেও আমার মনে হইতেসে তার নাম ভয় নিগাম হইলে ভাল হইত। এটা নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এর বই। নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এত ভয়াবহ আগে জানতাম না। ইকুয়েশন গুলা একটার সাথে আরেকতার কোনোই মিল নাই। একটা লাইন যদি হয় এবারের সংরাম আমাদের মুক্তির সংরাম, পরের লাইন হবে ঐ দেখা যায় তাল গাছ। তার পরের লাইন হবে, মেয়েটা কে পাইলাম না। বুঝতেই পারতেসেন অবস্থা কি। দোয়া করবেন। বইয়ের নাম নিউক্লিয়ার ফিজিক্স। লেখকের নাম ভয় নিগাম।

    ReplyDelete
  3. আমি গোগ্রাসে পড়ি। বিশ্বকাপ ফুটবল ও আরো কিছু ব্যক্তিগত ঝামেলায় বেশ কিছুদিন ধরেই পড়ার গতি অতি ধীর।

    আমি সাধারণত একসাথে কয়েকটা বই পড়ি। বর্তমানে পড়ছি Joanne Harris এর blueeyedboy আর William Ryan এর The Holy Thief.

    পড়া শেষ হলে জানাবো কেমন লেগেছে। :)

    ReplyDelete
  4. পড়লাম:
    সৈয়দ হকের কার্ব নাট্য "নূরলদীনের সারাজীবন"। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নায়ক উত্তরাঞ্চলের নূরলদীনকে নিয়ে অসাধারণ নাটক। আমার নিজের দল নাগরিকের প্রযোজনা ছিলো। আলী যাকের নির্দেশনায়, আমি ছিলাম তাঁর সহকারী। এই কাব্য নাট্যেই সেই বিখ্যাত অংশটি আছে- জাগো বাহে... কোনঠে সবাই...। যা আবৃত্তির মঞ্চেও ব্যাপক সফল।
    অসাধারণ একটা নাটক।

    "এই যুদ্ধে মরোঁ যদি কোনো দুঃখ নাই
    হামার মরণ হয়, জীবনের মরণ যে নাই।"

    কিংবা আব্বাসের সংলাপ:
    "কার দোষ? নাচে যেইজন, কিংবা তাকে যে নাচায়?
    নাচো, বাহে, নাচো নাচো তুলিয়া মাথায়,
    উমালি ধুমালি করো,
    মাথার উপরে তার ছাতা মেলি ধরো।
    নেতা বলি ক্ষান্ত হন ক্যানে?
    নবাব না ডাকিলেন ক্যানে?
    নবাব করিয়া তাকে সিংহাসনে বসান হেথায়
    না লাগে হামার ভালো, কিছু মোর মনোতে না খায়।"
    কিংবা
    "ধৈর্য্য সবে, ধৈর্য ধরি করো আন্দোলন।
    লাগে না লাগুক, বাহে, এক দুই তিন কিংবা কয়েক জীবন।"

    আহ্... এ এক অসাধারণ উপাখ্যান। সৈয়দ হক আমাদেরকে নিয়ে যান ঐতিহাসিক চরিত্র নূরলদীনের কাছে। কিন্তু তার পাশে দাঁড়া করিয়ে দেন কল্পিত চরিত্র আব্বাসকে। আব্বাস যেন যাত্রার অথবা জাতির বিবেক।
    নূরলদীন আর আব্বাসের ছায়া থেকে উঠে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আর তাজউদ্দিন আহমেদ।
    আমরা দেখি ১১৮৯ সনের নূরলদীনের ছায়া আমাদের অবচেতন পাঠক মনে খুজেঁ পায় ১৯৭১ এর শেখ মুজিবকে।

    ReplyDelete
  5. পড়ছি:
    সৈয়দ হকের কাব্য নাট্য "ঈর্ষা"। আগেও কয়েকবার পড়েছি। আজকে আবারো হাতে তুলে নিলাম। এই নাট্যটা আমার অসাধারণ লাগে। আমার নিজের দল নাগরিকের নাটক। অভিনয় করেছিলেন- আতাউর রহমান, খালেদ খান আর সারা যাকের। মঞ্চে দেখে প্রথম মুগ্ধ হই।
    ৫৬ পৃষ্ঠার এই বইটিতে মাত্র ৭টি সংলাপ। দীর্ঘ দীর্ঘ সব সংলাপ। একটা সংলাপ আছে টানা ৮ পৃষ্ঠা!
    কিন্তু মঞ্চে দেখেছি, একদন বিরক্ত লাগে না। টান টান। সৈয়দ হকের মতো শক্তিমান লেখক দেশে কমই আছে।

    ReplyDelete
  6. এখানে সবাই চুপচাপ কেন?

    ReplyDelete
  7. কোলকাতা থেকে একগাদা বই কিনেছি, দমুদি উপহার দিলো আরো কয়েকটা। ফেরার পথেই পড়ে ফেললাম 'বাংলা চটি সিরিজ' এর বই দীপ্তেন এর লেখা 'আমার ৭০'।
    নকশাল আন্দোলন ঘিরে ৭০ দশকের কোলকাতা, ক্রসফায়ার, বামপন্থী দলাদলি নিয়ে একজন প্রত্যক্ষ বামপন্থী কর্মীর স্মৃতিচারণ। ভালো লাগলো।

    আর আজ পড়লাম মনফকিরার প্রকাশনা হোসে সারামাগোর গল্প অবলম্বনে রচিত মঞ্চনাটক 'অচিন দ্বীপের খোঁজে'।
    গল্পটা পড়া নাই। নাটকটা পড়ে বেশ কিছু সংলাপ বেশ ভালো লাগলো। সম্ভবত এটা নাট্যরূপকার ঋতা রায়ের কৃতিত্ব। তবে আমার মনে হয়েছে নাটকটার কলেবর আরো বাড়ানো যেত। দৈর্ঘ্য ছোট রাখতেই এটা করা হয়েছে কী না জানি না

    ReplyDelete

মন্তব্যে লিখুন হাতে থাকা বইটি নিয়ে আপনার ভাবনা এবং/অথবা প্রতিক্রিয়া।